বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপলিকেশন (অ্যাপ) ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ।
ফোন নম্বরের মাধ্যমেই সহজেই আমরা যোগাযোগ রাখতে পারি এই অ্যাপে। আবার এর মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার মানুষের সাথে ম্যাসেজে, ভিডিও কল, ছবির আদান-প্রদান ইত্যাদি হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু ভুলের জন্যই আমরা অনেক সময় নানান ঝামেলাই পড়ে যায়।
তাই চুরি, হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে হোয়াটসঅ্যাপে এই ৭টি ভুল এড়িয়ে চললে তবেই প্রতিকার মিলবে। এগুলো হলো-
১. আমরা মাঝে মাঝেই আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল ফটো পরিবর্তন করে থাকি। কিন্তু আমরা এটা জানি না যে এর থেকে হতে পারে নানান বিপদ। কারণ আমাদের কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা প্রত্যেকেই আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল ফটো দেখতে পান। এমনকি এর থেকে অনেক রকম তথ্য় পেয়ে যান অনেকে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসিতে থাকা তিনটি অপশনের (এভরিওয়ান, মাই কনট্যাক্ট, নোবডি) মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
২. আমাদের ফোনের কনট্যাক্ট লিস্ট থেকে কিছু অপ্রাসঙ্গিক নম্বর ডিলিট করে দিতে হবে। যাদের সাথে অনের আগে পরিচয় হলেও এখন আর কোনও যোগাযোগ নেই। এর ফলে বিপদ অনেকটা কম হতে পারে। কারণ বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ মানুষই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত।
৩. হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার আগে এই অ্যাপের সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসিতে সব কিছু মাই কনট্যাক্ট করে নিন। এর ফলে আপনি এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনার পরিবারের কাউকে বা বন্ধুকে যাই কিছু দেবেন, তা শুধু সেই দেখতে পাবে, অন্য কেউ না।
৪. অনেক সময়ই হয়ে যে আমরা না চাইলেও আমাদের কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা কিছু মানুষ হঠাৎ করেই কোনো একটি গ্রুপে নিয়ে নেয়। এর জন্য প্রাইভেসিতে থাকা মাই কনট্যাক্ট এক্সসেপ্ট ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে যে কেউ চাইলেই আপনাকে গ্রুপে নিতে পারবে না।
৫. প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপে ‘গুড মর্নিং’ ধরনের কিছু ছবি সহ ম্যাসেজে আসতে থাকে। প্রয়োজনীয় ছবি ছাড়া অন্যান্য কোনও ছবি নিজের ফোনে রাখার প্রয়োজন নেই।
৬. আমরা মাঝে মাঝেই হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট ব্যাকআপ করি। যদি কোনও চ্যাট আপনার প্রয়োজন হয়ে তাহলে সেটি আলাদা ভাবে সেভ করে রাখুন। কারণ অযথা চ্যাট ব্য়াকআপের ফলে বাড়তে পারে নানান সমস্যা।
৭. হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এমন কোনো খবর ছড়াবেন না যার ফলে সমাজের কোনও ক্ষতি হতে পারে। এই ধরনের ম্যাসেজের ফলে আপনি গ্রেপ্তারও হতে পারেন। সূত্র: জিনিউজ