Asia Cup Cricket Roll of Honor 1984-2023 0 527

asia cup roll of honor

The Asia Cup, officially known as the ACC Men’s Asia Cup or ACC Cup is a men’s international cricket tournament contested between Asian countries in either One Day International format (50 overs) and Twenty20 International cricket format (20 overs). It was established in 1983 when the Asian Cricket Council was founded as a measure to promote goodwill between Asian countries. It was originally scheduled to be held every two years. The Asia Cup is the only continental championship in cricket and the winning team becomes the champion of Asia. It alternates every 2-years between ODI and T20 formats. Asia cup roll of honor or list of champions are already got 3 champion counties named India 7 times, Sri Lanka 6 times and Pakistan 2 times.

Let’s have a look into Asia Cup Roll of Honor

YearFormatTeamHostChampionRunner Up
1984ODI3UAEIndiaSri Lanka
1986ODI3Sri LankaSri Lanka Pakistan
1988ODI4BangladeshIndiaSri Lanka
1991ODI3IndiaIndiaSri Lanka
1995ODI4UAEIndiaSri Lanka
1997ODI4Sri LankaSri LankaIndia
2000ODI4BangladeshPakistanSri Lanka
2004ODI6Sri LankaSri LankaIndia
2008ODI6PakistanSri LankaIndia
2010ODI4Sri LankaIndiaSri Lanka
2012ODI4BangladeshPakistanBangladesh
2014ODI5BangladeshSri LankaPakistan
2016T20I5BangladeshIndiaBangladesh
2018ODI6UAEIndiaBangladesh
2022T20I6UAESri LankaPakistan
2023ODI6Pakistan
Sri Lanka
TBDTBD
Previous ArticleNext Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জামায়াত কি তবে শক্তি গুছিয়ে ফেলেছে? 0 1073

জামায়াত ইসলামী

দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ
নিপীড়নের মধ্যেও শক্তি সঞ্চয় করেছে জামায়াত

চলতি বছরের জুন মাসে জামায়াতে ইসলামী রাজধানী ঢাকায় একটি সমাবেশ করেছিল। নিউজ ফুটেজে দেখা যায়, সেখানে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সেটি ছিল এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দলটির প্রথম কোনো সমাবেশ। সমাবেশটি কঠিন এক বার্তা দিয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের চাপে থেকে, নিপীড়নের শিকার হয়েও দলটি টিকে আছে।

জামায়াত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে সংগঠিত ইসলামী রাজনৈতিক দল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দলটি পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছিল। দলটির বেশ কয়েকজন নেতা যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)- এর সাবেক নির্বাচনী মিত্র জামায়াত ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অংশ ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, বিরোধী দলগুলোকে বিশেষ করে জামায়াতকে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রাখা হয়েছিল এবং ১৫ বছর ধরে তা চলমান আছে।


৭১’র যুদ্ধে বেসামরিক মানুষের ওপর চালানো ভয়াবহ সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের জন্য ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) নামের একটি ‘ডমেস্টিক কোর্ট’ গঠন করে। আইসিটির তদন্ত অনুযায়ী, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক অপরাধ চালানোর জন্য জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছিলেন। আইসিটি জামায়াত নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুদণ্ড দেয়।

প্রক্রিয়াগত ত্রুটির জন্য প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ওই বিচারের সমালোচনা করে। আইসিটি’র ট্রায়াল এবং নেতাদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া জামায়াতকে কঠিনভাবে আঘাত করে। দলটি বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হারায়। এ ছাড়াও, আইসিটি দ্বারা দোষী সাব্যস্ত জামায়াতের দুই নেতার ছেলেকে ‘জোরপূর্বক গুম করা হয়’। তাদের একজন মীর আহমেদ বিন কাসেম। তার পিতা প্রয়াত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী প্রথমে আইসিটি দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, পরে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। অন্যজন, সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। তার পিতা জামায়াতের সাবেক প্রধান গোলাম আযম। আইসিটি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল, পরে তিনি মারা যান। আজও ওই ছেলেদের হদিস কেউ জানে না। যদিও সরকারি বাহিনী তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে পরিবারগুলোর অভিযোগ।


আইসিটি’র বিচার এবং নিজেদের নেতাদের রায়ের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিবাদ করতে গিয়ে জামায়াত এবং দলটির ছাত্র সংগঠন-ইসলামী ছাত্রশিবির পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের অনেক কর্মীকে হারিয়েছে। জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ বছরে তাদের প্রায় ২৪০ জন কর্মী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর হাতে নিহত হয়েছেন। জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪ হাজারের বেশি এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সাড়ে ৯ হাজার মামলা রয়েছে। নারীসহ দলটির ৯০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। দ্য ডিপ্লোম্যাট স্বাধীনভাবে এই পরিসংখ্যান যাচাই করতে পারেনি। জামায়াতের অনেক কর্মী স্থানীয়ভাবে আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকেই ইউরোপ, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে নির্বাসনে রয়েছেন।

উপরন্তু, হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের নির্দেশ দিলে দলটির ওপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যায়। আওয়ামী লীগের মিত্র তরীকত ফেডারেশনের দায়েরকৃত একটি রিট পিটিশনের পর এই রায় দেয়া হয়। বলা হয়েছিল, ‘জামায়াত ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না’। জামায়াতকে নির্বাচন করতে বাধা দেয়া হয়। সংগঠন এবং কার্যক্রমের উপর সুসজ্জিত আক্রমণের পরও জামায়াত টিকে গেছে বলেই মনে হচ্ছে। জুনের সমাবেশ দেখিয়েছে যে, দলটি এখনো বিশাল সমাবেশ এবং বিক্ষোভ সংগঠিত করার ক্ষমতা রাখে।

পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে জামায়াতের রুকন বা স্থায়ী সদস্য সংখ্যা ২৩,৮৬৩ থেকে তিন গুণ বেড়ে ৭৩,০৪৬ হয়েছে। অন্য কথায়, নিপীড়নের মধ্যেও জামায়াত উন্নতি লাভ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্কলার এবং দলটির একজন রুকন বা স্থায়ী সদস্য নকিবুর রহমান। তিনি দ্য ডিপ্লোম্যাটকে বলেন, “জামায়াত একটি আদর্শভিত্তিক দল। আর তাই, ক্রমাগত নিপীড়নে থেকেও দলটি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে না’। নকিবুর জামায়াতের সাবেক আমীর মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে, দলটির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
জামায়াত বিষয়ে গবেষকরা দলটির টিকে থাকার কৌশলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দলটি তার রাজনৈতিক কর্মকা-কে কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে, মানুষকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য দলে যোগদানে আহ্বান জানানোর পরিবর্তে ‘দাওয়াহ’কে প্রসারিত করেছে এবং ধর্মীয় পথ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পথ বেছে নিয়েছে। নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকতে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে দলের কর্মীরাও সদা তৎপর।

জামায়াতের দলীয় ওয়েবসাইট বলছে যে, তারা বাংলাদেশকে একটি ইসলামী কল্যাণধর্মী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে আল্লাহ্ নির্ধারিত এবং নবী মুহাম্মদের দেখানো ইসলামী জীবনবিধি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। যার ফলস্বরূপ, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি পরকালেও মুক্তি পাওয়া যাবে।’ দলীয় সংবিধান বলছে ‘দলটি শৃঙ্খলামূলক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করবে এবং দলের পক্ষে জনমত গঠনের প্রচেষ্টা চালাবে।’

একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকার কথা বাংলাদেশের অনেকেই ভুলে যান নি। সমালোচকদের অভিযোগ- দলটি সংখ্যালঘু বিরোধী এবং সহিংসতা ছড়ায়, হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দলটি সহিংসতা ছড়ায়। জামায়াত নিজ দৃষ্টিভঙ্গিতে গোঁড়া বলেও অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে, কেবল মুসলমানরাই দলটির সদস্য হতে পারেন এবং দলটি মনে করে কোনো নারী রাষ্ট্রের প্রধান হতে পারবেন না। যদিও, জামায়াত ‘সংখ্যালঘু বিরোধী’ বিষয়টি স্বীকার করে না। নকিবুর বলেন, ‘মুসলমান হিসেবে আমাদের বিশ্বাস, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব।’ দলটির বর্তমান নেতারা নিজেদের (দলের) আগের অবস্থান থেকে (বিশেষ করে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ বিষয়ে) দূরে রাখার চেষ্টা করছেন।

ডিডাব্লিউ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জামায়াতের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের বলেছেন, ২০২৩ সালের জামায়াত অতীতের চেয়ে আলাদা। তাহের বলেন, ‘হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, জামায়াত, আওয়ামী লীগ, বিএনপি সহ সমগ্র জাতির জন্যই ১৯৭১ গর্বের এক বিষয়।’ যদিও তিনি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানকে সহযোগিতার জন্য ক্ষমা চাওয়া থেকে বিরত থাকেন, যেটি জামায়াতের সমালোচকদের দীর্ঘদিনের দাবি। সম্ভবত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামায়াতের বক্তব্যের পরিবর্তনটি কৌশলগত।

২০২০ সালে, জামায়াতের বেশ কয়েকজন কর্মী আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি গঠনের জন্য দল ছাড়েন। এবি পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান ফুয়াদের মতে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা ছিল বিভক্তির মূল বিষয়। দ্য ডিপ্লোম্যাটকে তিনি বলেন, যারা এবি পার্টি গঠনের জন্য জামায়াত ত্যাগ করেছিলেন তারা মনে করেন জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া, নারী ও সংখ্যালঘুদের বড় বড় পদে নিতে উৎসাহিত করে দলকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করা এবং রাজনীতি থেকে ধর্মকে আলাদা করা প্রয়োজন।

যদিও এবি পার্টির কারণে জামায়াত খুব বেশি সমর্থন হারায়নি, তবে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের বিষয়ে দলটির বক্তব্যের পরিবর্তন আরও বিভক্তিকে ঠেকানোর লক্ষ্যে হতে পারে। আঞ্চলিকভাবে ভারত জামায়াতের ঘোরবিরোধী। প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক এস.এন.এম. আবদি যেমন বলেছেন, “একের পর এক বিভিন্ন ভারতীয় সরকার জামায়াতকে পাকিস্তানের প্রক্সি, আরও নির্দিষ্টভাবে বললে আইএসআই (পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা)-এর পুতুল ভিন্ন অন্য কিছু মনে করে নি।”

লন্ডনের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের সিনিয়র লেকচারার অবিনাশ পালিওয়াল দ্য ডিপ্লোম্যাটকে বলেন, “বাংলাদেশের ইসলামপন্থিদের জন্য জামায়াতের রক্ষণশীল ভিত্তি এবং মতাদর্শিক সহায়তাকে নয়াদিল্লি নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে। আদর্শগত এবং নিরাপত্তা-সম্পর্কিত উভয় কারণেই ভারতের পক্ষে এই ধরনের দলকে ধারণ করা কঠিন। যার কারণে (ভারত) প্রায়ই আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে থাকে, এমনকি বাংলাদেশের নির্বাচনী স্বচ্ছতার মূল্য দিয়ে হলেও।”

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারতের ‘আধিপত্য বিস্তার প্রচেষ্টার’ নিন্দা জানিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতকে খুশি করছে বলে অভিযোগ করেছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের নির্বাচনের আগে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে সম্পৃক্ততার প্রকৃতি সম্পর্কে অনুমান করছেন। দীর্ঘদিন ধরেই দল দুটি মিত্র। উভয় পক্ষের সূত্র বলছে, ভবিষ্যতে (পারস্পরিক) সহযোগিতার বিষয়ে সন্দেহ থাকলেও উভয় দলই পৃথকভাবে হলেও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত।

বিএনপি জামায়াতকে ছাড়াই দেশব্যাপী ব্যাপক সমাবেশের আয়োজন করছে। এভাবে (দলটি) সমালোচকদের এমন দাবিকে অস্বীকার করছে যে- দলটি জামায়াতের মাঠের শক্তির উপর নির্ভরশীল। দলটির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সম্প্রতি সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য ১৯টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে একটি জোট গঠন করেছে যাতে ছাত্রশিবিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমন এক জায়গা থেকে জামায়াত কীভাবে বিকশিত হবে সেটি অনুমান করা কঠিন। তবে, দলটি যে সাংগঠনিকভাবে এখনো শক্তিশালী সেটি স্পষ্ট। দলটি হয়তো আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ-বিরোধী মনোভাব থেকেও দলটি লাভবান হয়েছে।
নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে জামায়াত সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। তবে, নিজ অনুকূলে রায় পাওয়ার ব্যাপারে দলটি আশাবাদী নয়। দলীয় সূত্র দ্য ডিপ্লোম্যাটকে জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তারা দলের নাম পরিবর্তনের কথা ভাবছে।

[লেখাটি ওয়াশিংটন ডি.সি. ভিত্তিক খ্যাতনামা ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’ ম্যাগাজিনে ২৯শে আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে। লিখেছেন ডিপ্লোম্যাটের কন্ট্রিবিউটিং অথর, সিডনি-ভিত্তিক স্কলার এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির বিশ্লেষক মুবাশ্বার হাসান। অনুবাদ করেছেন তারিক চয়ন]

কল ব্রিজ খেলার নিয়ম – জেতার নিয়ম 0 6833

কল ব্রিজ খেলার নিয়ম

কল ব্রিজ খেলার নিয়ম

স্পেডস বা কল ব্রীজ (Call Bridge বা স্পেড ট্রাম) তাস খেলাতে মুলত স্পেড (ইষ্কাপন), হার্টস (হরতন), ডাইস (রুইতন), ক্লাবস (চিড়িয়া) এই ৪ (চার) প্রকারের কার্ড থাকে। প্রত্যেক প্রকারের ১৩ কার্ডের র‍্যাঙ্ক A, K, Q, J, 10, 9, 8, 7, 6, 5, 4, 3, 2। চার(4) জন খেললে এলোমেলো করে বাটার পর সবাই ১৩ টি করে কার্ড পাবে। যে তাস বাটবে তাকে বয়লে ডিলার। যাকে প্রথম কার্ড দেয়া হবে সে তার ইচ্ছে মত একটি কার্ড খেলবে। পরবর্তী ৩ জন সেই প্রকারের কার্ড খেলবে। প্রতি দানের উচ্চ র‍্যাঙ্কের কার্ডটি যে খেলবে সে পিট বা বিড পাবে। তবে যদি সেই জাতীয় কার্ড পরবর্তীদের কারো কাছে না থাকে তবে স্পেড (ইষ্কা) এর কার্ড দিয়ে সেই পিট টি ট্রাম করে নিতে পারবে। যদি একাধিক কার কাছে প্রথম প্রদানকারী কার্ড না থাকে তবে একাধিক ব্যাক্তি ট্রাম করতে পারবে, ট্রামের ক্ষেত্রেও যে স্পেডের উচ্চ র‍্যাঙ্ক এর কার্ড দেবে সে পিট পাবে। প্রতি গেমে ১৩ কার্ডের ১৩ পিট থাকবে। এভাবে নির্ধারিত (ধরুন ৩০) পয়েন্টে যে আগে যেতে পারবে সে প্রথম স্থান অধিকার করবে। তবে মনে রাখতে হবে কার্ড বাটার পর সেই কার্ড দেখে অনুমানের বিড ধরতে হবে যে আমি এত (i.e. 3 ) পিট পাব। লিখে রাখা হবে। যদি বিড পুরন করতে পারেন তবে তা যোগ হবে, আর যদি বিড পুরন করতে না পারেন তবে তা বিয়োগ হবে।

কল ব্রিজ খেলার নিয়ম - বিডিং

কল ব্রিজ জেতার নিয়ম

কল ব্রিজ খেলার নিয়ম - স্কোরিং

১. তাস গনণা করাঃ সবসময় যথাসম্ভব তাস গুনে রেখে খেলা উচিত। বিশেষ করে ইস্কাপন বা রঙ কার্ড। অন্য তাস গুলোর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কয়টা লিড যাচ্ছে। রঙ করার ক্ষেত্রে সুবিধা হয় এইক্ষেত্রে।
২. বাদ দিন উচ্চাভিলাসিতাঃ উচ্চাভিলাষী চিন্তা বাদ দিতে হবে। বাস্তবের সাথে মিল রেখে কল দিতে হবে। সবসময় চেষ্টা করবেন, মাইনাস না যাবার। যদি ২ কলে হাতে মাইনাস হয়ে যায়, সেটা আপনার দোষ না। কার্ড না আসলে হতেই পারে। কিন্তু ২ এর অধিক কল দিয়ে মাইনাস গেলে জেতা কঠিন।
৩. ট্রিক নিয়ে সাবধানতাঃ কল অথবা বিড করার সময় সাবধান হতে হবে। ধরুন, আপনার কাছে রুইতন আছে ১ টা, আপনি চিন্তা করলেন আপনি রঙ করে ২ টা কল নিবেন এখান থেকে। একই সাথে আপনি হরতন থেকে টেক্কা সাহেব ২ কল নিবেন। এখানেই ট্রিকস! আপনার কাছে রুইতন কম থাকলে, অন্য কারো হাতে হরতন কম আছে। সে হরতন এ রঙ করে কল নিলে আপনি হয়ত সাহেবের কল টা মিস করবেন। তাই এক্ষেত্রে ৪ কল না দিয়ে ৩ কল দিলে আগাতে পারবনে জয়ের পথে।
৪. বোনাস কলের লোভ না করাঃ বোনাস কলের লোভে পড়া যাবেই না। ধরুন, আপনি নিশ্চিতভাবে ৬ অথবা ৭ কল পাচ্ছেন। আপনি চিন্তা করলেন কোনভাবে ৮ কল দিয়ে যদি পাই, তবে বোর্ডে যোগ হবে ১৩ টা। আপনি হয়ত জিতেই যাচ্ছেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত হয় হিতে বিপরীত। খেলোয়াড় এই কারণেই হেরে যায়।
৫. কুইন কে নিয়ে সাবধানতাঃ ৭৫% সময় বিবি কে কল হিসেবে গণ্য করবেন না। বিবি থাকলে অনেকেই প্রাপ্য ৪ কল না দিয়ে ৫ কল দেয় ভাব নিয়ে। মনে রাখবেন, ৪ কল দিয়ে ৫ কল পেলে দোষ নেই। কিন্তু ৫ কল দিয়ে ৪ পেলে কেবল ৪ না, আপনার একাউন্ট থেকে মাইনাস হবে ৯। এখানেই হেরে যাবেন আপনি।

এবার কল ব্রিজ খেলার নিয়ম তো জেনে গেলেন, জানলেন কল ব্রিজ জেতার নিয়ম কিংবা জরুরী কিছু টিপস। এবার শুরু করুন বন্ধুদের সাথে খেলা, হার আপনার কাছে আর আসবে না।