ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে এখন অনেক কাজই ঘরে বসে অনলাইনে করা সম্ভব। এমনকি ঘরের প্রয়োজনীয় বাড়ির টুকিটাকি জিনিসপত্র পর্যন্ত কোনো অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট এ অর্ডার দিলে তা একেবারে দরজায় পৌঁছে যায়। কেনাকাটার জন্য আর রোদ, ঝড়-বৃষ্টি কিংবা ভিড়ের মধ্যে চ্যাপ্টা হতে হয় না। বাড়িতে বসেই প্রয়োজনীয় জিনিস অর্ডার দিয়ে হাতের নাগালে পেয়ে যান। এতে অনলাইন শপিং আসক্তি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
নিরাপদ অনলাইন শপিং সময় বাঁচাচ্ছে ঠিক কিন্তু এই কেনাকাটায় যদি নিয়ন্ত্রণ না রাখা যায় তাহলে যেমন অতিরিক্ত খরচ হয় তেমনই অতিরিক্ত অনলাইনে কেনাকাটা অনেকের আসক্তিতে পরিণত হয়। অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে কোন ব্যক্তি বুঝতে পারছেন তিনি অনলাইন কেনাকাটায় আসক্ত হয়ে পড়েছেন। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কিনছেন কিন্তু তারপরেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। কেন এমন হয়? এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে সাইকোলজি টু ডের একটি প্রতিবেদনে।
সেখানে বলা হয়েছে, অনলাইন কেনাকাটার আসক্তি বাড়তে পারে বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা, অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, এমনকি নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার কারণে। অনলাইন শপিং এর সুবিধা যেমন আছে, তেমনি এ ধরনের আসক্তি থেকে নিজেকে বের করে নিতে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। যেমন –
১. ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন যে শপিং পেজ বা শপিং ওয়েবসাইটগুলিকে লাইক ফলো করে রেখেছেন সেগুলি আনফলো বা আনলাইক করে দিন।
২. যে শপিং অ্যাপগুলি রয়েছে সেগুলিতে সাবস্ক্রাইব করা থাকলে আন সাবস্ক্রাইব করে দিন। এতে সেই ওয়েবসাইট, ফেইসবুক পেজ কিংবা শপিং অ্যাপ আপনাকে তাদের পণ্য সংক্রান্ত আপডেট দেওয়া বন্ধ করবে। হোম পেজে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ঘোরাঘুরিও বন্ধ হবে। যার ফলে সেই পণ্য দেখা মাত্রই কেনার প্রবণতা কমবে।
৩. কোন কিছু কেনাকাটার সময় ক্রেডিট কার্ডের বদলে নগদ অর্থ ব্যবহার করুন। এতে আপনার নিজের কাছে হিসেব থাকবে যে কত টাকা আপনি খরচ করলেন এবং কত টাকা অবশিষ্ট রয়েছে।
৪. প্রতিদিনের খরচ এবং কেনাকাটার খরচ নির্দিষ্ট করুন। মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন এটা বলে যে বাজেটের বাইরে আপনি এক পয়সাও কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে দিনের শেষে নিজের খরচ খাতায় লিখে রাখুন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন শপিং এর ৫ টি সুবিধা>>