আজকের দিনে বেশির ভাগ মানুষ করপোরেট দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত। ফলে আট থেকে দশ ঘণ্টা কাজ করাই এখন সবার নিয়মিত রুটিন। তাই সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার কোনোটাই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে হয়ে ওঠে না। এমনকি সপ্তাহের শেষে একদিনের ছুটিতে ব্যায়াম বা জিম কোনোটা করতেও মন চায় না।
তাই শরীরের হাজারও সমস্যা বাড়িয়ে নিজেকে শয্যাশায়ী না করতে চাইলে জেনে নেই-অফিসে সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যে কীভাবে সঠিক খাদ্যগ্রহণ করে নিজেকে সুস্থ রাখা যায়।
বাড়ির বানানো খাবার
শরীর সুস্থ রাখা তো বটেই পকেট সুস্থ রাখতেও বাড়ির বানানো খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা বাহিরে থেকে যে সব খাবার কিনে খাই, তা বেশিরভাগ সময়েই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয়। ফলে শরীর তো খারাপ হয়ই, সঙ্গে পকেটও ফাঁকা হয়। তাই বাড়ির পরিষ্কার পাত্রে পরিমিত মশলায় বানানো খাবারই অফিসে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
ডেস্কে পানির বোতল
আমাদের বহুবিধ রোগ সারানোর অন্যতম উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। সারাদিন কাজের চাপের মধ্যেও শরীর যাতে সতেজ থাকে তার জন্য সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ, পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন হলে কাজ করার ক্ষমতা তো কমেই যায়, একইসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনির সমস্যা এবং মাংসপেশীর নানা সমস্যা দেখা দেয়।
বাদাম রাখুন স্ন্যাক্সে
আমরা নিজেরাও জানি না কখন হঠাৎ করে আমাদের খিদে পায়। অন্যদিকে অফিসের কাজের চাপে পেট ভরে খাবার খাওয়ারও সময় হয় না। তাই চটজলদি হাতের কাছে থাকে তেলেভাজা চিপস নয়তো কোল্ড ড্রিঙ্কস। এর ফলে শরীরের অবস্থা আরও খারাপ হয়। তাই কাজের চাপেও শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে বাদ দিতে হবে তৈলাক্ত খাবার। বাদামে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। তাই যখন-তখন খিদে মেটাতে ব্যাগে রাখাই যায় বাদাম ও ছোলা জাতীয় পুষ্টিকর খাবার।
পরিমাণ মতো ফল খান
ফলের মধ্যে উপস্থিত ফাইবার শরীরের জন্য যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনি শরীরকে ভালো রাখতে ফল খাওয়া একান্ত জরুরি। শরীরকে সব সময় ফিট রাখতে তাই প্রত্যেকেরই ফল খাওয়া উচিত। এ ছাড়া প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সঙ্গে পরিমাণ মতো ফল আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ঝটপট ওটমিল
কাজের চাপে যখন খাওয়ার সময় থাকে না, তখন পেট ভরানোর জন্য সব থেকে উপযোগী হলো ওটমিল। সাধারণ ওট বাদাম এবং শুঁকনো ফলের সঙ্গে খেলে পেটও ভরে আবার শরীরও সুস্থ থাকে। এ ছাড়া ওট আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
জাঙ্ক ফুড বাদ দিন
জাঙ্ক ফুড আমাদের শরীর শুধু নয়, আমাদের মানসিক দিক থেকেও দুর্বল বানিয়ে দেয়। চটজলদি জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে ফাস্ট ফুড আমাদের দিনে দিনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এইসব খাওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে স্থুলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে হলে সবার আগে জাঙ্ক ফুডকে বিদায় জানাতেই হবে।