ডায়াবেটিস হলে শুরুতেই খাবারদাবারের ব্যাপারে আশপাশ থেকে অনেকেই সচেতন করতে থাকেন যেন এই রোগে আক্রান্ত হলে সুস্বাদু সব খাবার থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে কিন্তু ব্যাপারটি সেরকম নয়। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিক খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কিছু প্রচলিত ধারণা আছে যার অধিকাংশই ভুল।
চিনি ডায়াবেটিসের কারণ: আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে চিনি ডায়াবেটিসের কারণ নয়। তবে বেশি চিনিযুক্ত খাবারে সাধারণত ক্যালরি থাকে যা ওজন বাড়িয়ে তুলে ঝুঁকির কারণ হতে পারে তাই চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
<<যেসব খাবার খেলেও ওজন বাড়ে না>>
বিশেষ খাবার প্রয়োজনঃ সবার মত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের সুষম খাদ্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হওয়া উচিত। তাদের জন্য সব সময় পৃথক খাবার প্রস্তুত করার প্রয়োজন নেই। সুষম খাবার হলো স্বাস্থ্যকর চর্বি, শাকসবজি, পূর্ণ শস্য দানা, চর্বিযুক্ত প্রোটিন ইত্যাদি। এগুলো রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। লো-গ্লাইসেমিকযুক্ত খাবার খেতে হবে। এগুলো শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
প্রোটিন রক্তে সুগার বাড়ায় নাঃ প্রোটিন একটি অত্যন্ত তৃপ্তিকারী ম্যাক্রো-নিউট্রিয়েন্ট, যা আপনাকে খাওয়া-দাওয়ায় পরিপূর্ণ বোধ করাতে সহায়তা করে। এমনকি উচ্চ প্রোটিন ডায়েট ওজন কমাতে পারে। তবে পেশী বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত না হলে ক্যালরিতে রূপান্তরিত হয়, যা ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেশি প্রোটিন খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার পরিবর্তে সুষম খাবার খাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন।
<<রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা খাওয়া জরুরী>>
শর্করা একেবারে বাদ দেয়াঃ না খেয়ে থাকা ডায়াবেটিক রোগীদের হাইপো-গ্লাইসেমিয়ার একটি লক্ষণ। শর্করা আপনার বয়স, ওজন এবং শারীরিক পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। এ জাতীয় খাবারের জন্য জটিল শর্করার পাশাপাশি বেশি আঁশযুক্ত খাবারের দিকে মনোযোগ দিন।
পরিশেষে, সঠিক তথ্য জেনে ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকুন, যাপন করুন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন।
আরো পড়ুনঃ মেদ কমাতে দড়ি লাফ
অনেক উপকারী তথ্য।
Thank you very much!